রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সংস্কার ও সংবিধান, মুশতাক হুসেন খান, 20/08/2024,


রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, সংস্কার ও সংবিধান, মুশতাক হুসেন খান - এই প্রোগ্রামে ফজলে রাব্বির নোট:

- রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। এর ইংরেজি হচ্ছে পলিটিক্যাল সেটেলমেন্ট (political settlement)। অর্গানাইজেশন এবং ইনস্টিটিউট এই দুইটি শব্দের অর্থ ভিন্ন। কিন্তু আমরা বাংলায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করি এটা ঠিক না। অর্গানাইজেশন (organisation) মানে সংগঠন প্রতিষ্ঠান। আর ইনস্টিটিউশন (institution) মানে হচ্ছে নিয়মকানুন। ধরুন ইনস্টিটিউশনাল ইকোনমিক্স মানে হচ্ছে নিয়মকানুন বোঝার অর্থনীতি। রাষ্ট্রের মধ্যে কিছু অরগানাইজেশন থাকবে। এসব অরগানাইজেশনের নিয়মকানুন থাকবে যেগুলোকে আমরা ইনস্টিটিউট বলতে পারি। এসব ইনস্টিটিউট এর মাধ্যমে এক ধরনের স্ট্রাকচার বা সিস্টেম  তৈরি হবে, যার মাধ্যমে পাওয়ার বা ক্ষমতা রিপ্রোডিউসার। রিপ্রোডিউস করার সক্ষমতা না থাকলে অর্গানাইজেশন এবং ইনস্টিটিউটগুলো ক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারে না।

- ২০১৪ সালের পর থেকে কর্তৃতবাদী শাসন শুরু হল। বাংলাদেশে আসি এবং ৯০ দশকের ব্যবসায়ীরা ছিল এসএমই শ্রেণীর ব্যবসায়ী। ২০১৪ সালের পর থেকে পলিটিক্যাল পাওয়ার কেন্দ্রীভূত হতে শুরু করে। এই কেন্দ্রীভূত ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বড় বড় ব্যবসায়িক গ্রুপের উদ্ভব ঘটল। কেন্দ্রীভূত পলিটিক্যাল পাওয়ারের সাথে যুক্ত হলো ইকোনমিক পাওয়ার।

- ভয় এবং বিরোধী অর্গানাইজেশন গুলোকে ভেঙে দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। 

- আগের ফ্যাসিবাদের কনসেনট্রেটেড পাওয়ার এর জায়গাগুলো ভাঙতে হবে। নতুন অর্গানাইজেশন সৃষ্টি করতে হবে।

- odious debt বা ঘৃণ্য চুক্তি। 

- ইমিডিয়েট করণীয়। ৪টি প্রস্তাব:

- আমাদের ব্যাংকগুলোকে বাঁচাতে হবে।

- odious debt বা ঘৃণ্য চুক্তি বাতিল করতে হবে। বিদ্যুৎ সহ আদানি গ্রুপের সাথে যত চুক্তি হয়েছে সব বাতিল করতে হবে।

- বিদেশে যত টাকা পাচার হয়েছে তাদের একাউন্টগুলো সিজ বা ক্রোক করতে হবে।

- সব বৈদেশিক চুক্তি পাবলিকলি প্রকাশ করতে হবে।

- মালাক্কা প্রণালী সম্পর্কে জানতে হবে। এতে করে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্ব বোঝা যাবে। তেল, গ্যাস বা পানি নয়; শুধুমাত্র বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানের কারণেই সারা বিশ্বের জলপথ ব্যবসার জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। 

ফজলে রাব্বি

ফজলে রাব্বি একজন লেখক, অনুবাদক এবং প্রকাশক, যিনি বাংলা সাহিত্যের জগতে তার অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। তিনি সাফল্য প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদকের ভূমিকায় থেকে প্রায় এক দশক ধরে অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের বাংলা অনুবাদে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করছেন। তার অনুবাদ করা বইগুলো যেমন "থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ," "দ্য সাইকোলজি অফ মানি," এবং "টাইম ম্যানেজমেন্ট" বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঠকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করাই তার অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, তিনি সাহিত্যিক কাজেও সমান উৎসাহী, যেখানে তার কবিতাগুলো মানুষের আবেগ ও অভিজ্ঞতার গভীর দিকগুলো তুলে ধরে। ফজলে রাব্বি প্রতিনিয়ত পাঠকদের জন্য নতুন বই প্রকাশ ও লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশের তার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাঠকদের জন্য শিক্ষণীয়, মানসম্মত এবং উদ্দীপনামূলক কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন উদ্ভাবনী প্রকাশক ও লেখক হিশাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন