অস্তিত্বের সংকটে মানবসভ্যতা: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি কি অবধারিত?

আমরা আমাদের প্রজাতির নাম দিয়েছি হোমো স্যাপিয়েন্স—যার অর্থ ‘জ্ঞানী মানুষ’। তবে আমরা এই নামের যথার্থতা কতটা রক্ষা করতে পেরেছি তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

গত ১ লক্ষ বছরে আমরা, স্যাপিয়েন্সরা, বিপুল ক্ষমতা অর্জন করেছি। আমাদের সমস্ত আবিষ্কার, উদ্ভাবন এবং জয়যাত্রা তালিকাভুক্ত করতে অনেক পৃষ্ঠার প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতা মানেই জ্ঞান নয় এবং এই দীর্ঘ সময়ের আবিষ্কার ও উন্নয়নের পরও মানব সভ্যতা নিজেকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলেছে। আমরা পরিবেশগত বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি, যা আমাদেরই ক্ষমতার অপব্যবহারের ফলে ঘটছে। একইসাথে আমরা নতুন প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই-AI) তৈরি করছি, যেগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং আমাদেরকে দাসত্বে পর্যবসিত বা ধ্বংস করতে পারে। তবুও এই অস্তিত্বগত সংকট মোকাবিলা করতে আমাদের প্রজাতি একতাবদ্ধ না হয়ে বরং আন্তর্জাতিক টানাপোড়েন বাড়াচ্ছে, বৈশ্বিক সহযোগিতা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে, দেশগুলো ধ্বংসাত্মক অস্ত্র মজুত করছে এবং একটি নতুন বিশ্বযুদ্ধও অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে না।

যদি আমরা স্যাপিয়েন্সরা সত্যিই এত জ্ঞানী হই, তাহলে আমরা এত আত্মবিধ্বংসী কেন?

গভীরভাবে চিন্তা করলে, আমরা ডিএনএ অণু থেকে দূরবর্তী গ্যালাক্সি পর্যন্ত অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি, কিন্তু এসব তথ্যের মাঝেও জীবনের বড় বড় প্রশ্নের জবাব পাইনি: আমি কে? আমরা কারা? আমাদের লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? একটা ভালো জীবন কেমন এবং কীভাবে সেটা যাপন করা উচিত? প্রচুর তথ্য থাকা সত্ত্বেও আমরা এখনো আমাদের অতীতের পূর্বপুরুষদের মতোই কল্পনা ও বিভ্রান্তির প্রতি দুর্বল। আধুনিক সমাজকেও গ্রাস করেছে এমন গণ-উন্মাদনার সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে নাৎসিবাদ এবং স্তালিনবাদ। আজকের দিনে মানুষ পাথর যুগের তুলনায় অনেক বেশি তথ্য ও ক্ষমতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমরা নিজেদের এবং মহাবিশ্বে আমাদের ভূমিকা সম্পর্কে সত্যিই ভালোভাবে বুঝতে পারছি কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

আমরা তথ্য ও ক্ষমতা জমা করতে এত বেশি দক্ষ, অথচ জ্ঞান অর্জনে ততটা সফল নই। এটা কেন? ইতিহাসজুড়ে বিভিন্ন ঐতিহ্য বিশ্বাস করে যে আমাদের স্বভাবেই এমন একটি মারাত্মক ত্রুটি রয়েছে যা আমাদের এমন ক্ষমতার দিকে ধাবিত করে যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। গ্রিক পুরাণে ফাইথন নামে এক বালকের গল্প রয়েছে, যে জানতে পারে সে সূর্যদেব হেলিওসের পুত্র। নিজের ঐশ্বরিক পরিচয় প্রমাণ করতে যেয়ে ফাইথন সূর্যের রথ চালানোর অনুমতি চায়। হেলিওস তাকে সতর্ক করে দেয় যে কোনো মানুষ এই মহাজাগতিক ঘোড়াদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কিন্তু ফাইথন জিদ ধরে। অবশেষে হেলিওস রাজি হয়। আকাশে উঠার পরপরই ফাইথন রথের নিয়ন্ত্রণ হারায়। সূর্যের রথ পথচ্যুত হয়, সূর্যও হেলে পড়ে। এই হেলে পড়া রথ ও সূর্য পৃথিবীর গাছপালা পুড়িয়ে দেয়, অসংখ্য প্রাণীকে হত্যা করে এবং পুরো পৃথিবীকে জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো হুমকি সৃষ্টি করে। তখন দেবতা প্রধান জিউস হস্তক্ষেপ করে। তিনি বজ্রাঘাত করে ফাইথনকে আকাশ থেকে ফেলে দেন। সেই অহংকারী মানুষ জ্বলন্ত তারকার মতো আকাশ থেকে পতিত হয়। দেবতারা আকাশের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় গ্রহণ করে এবং পৃথিবীকে রক্ষা করে।

দুই হাজার বছর পর, যখন শিল্প বিপ্লবের সূচনা ঘটছে। তখন নানা ধরনের যন্ত্র মানুষের অনেক কাজই মানুষের চেয়ে ভালোভাবে করছে। মানুষকে কর্মক্ষেত্র থেকে প্রতিস্থাপন করছে। তখন বিখ্যাত লেখক গ্যোথে একটি রূপকথার গল্প লেখেন। নাম: "The Sorcerer's Apprentice" (জাদুকরের এক শিক্ষানবিশ ছাত্র)। এই গল্পে এক বৃদ্ধ যাদুকর তার ওয়ার্কশপের দায়িত্ব একটি তরুণ শিক্ষানবিশ ছাত্রের ওপর দিয়ে যান এবং তাকে কিছু সাধারণ কাজের দায়িত্ব দেন। যেমন নদী থেকে পানি আনা। শিক্ষানবিশ ছাত্র নিজের জন্য কাজটি সহজ করতে যাদুকরের একটি মন্ত্র ব্যবহার করে একটি ঝাড়ুর উপর ফুঁ দেয়। তখন মন্ত্রের গুণে ঝাড়ুটি তার পানি আনার কাজ দেয়। তবে সে ঝাড়ুটিকে থামানোর মন্ত্র জানত না। ফলে ঝাড়ুটি একটানা পানি এনেই যাচ্ছে। এতে করে ওয়ার্কশপ পানিতে ভরে গেল। ভীত শিক্ষানবিশ ঝাড়ুটিকে কেটে ফেলল। তখন প্রতিটি কাটা টুকরা নতুন ঝাড়ুতে পরিণত হয় এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে লাগল। অবশেষে যাদুকর ফিরে এসে কাজ বন্ধ করার মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেয়। আর তাতেই বন্যা বন্ধ হয়ে যায়। এই গল্পের শিক্ষাটি পরিষ্কার: কখনোই এমন কোন শক্তিকে আমন্ত্রণ জানাবেন না যা আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।

এই শিক্ষামূলক গল্পগুলো আমাদের একবিংশ শতাব্দীতে কী শিক্ষা দেয়? যাই শিক্ষা দিক না কেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আমরা মানুষ এদের সতর্কবার্তা থেকে কিছুই গ্রহণ করিনি। আমরা ইতিমধ্যেই পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট করেছি এবং কোটি কোটি মন্ত্র পড়া ঝাড়ু, ড্রোন, চ্যাটবট, এবং অন্যান্য অ্যালগরিদমিক কৌশল তৈরি করেছি, যা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং যেকোন সময় যেকোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয় সৃষ্টি করতে পারে।

তাহলে কী করা উচিত? গল্পগুলো কোন সমাধান দেয় না। শুধু এটুকুই বলে যে আমাদেরকে কোন দেবতা বা যাদুকরের অপেক্ষা করতে হবে, যারা এসে আমাদের উদ্ধার করবে। এটা অত্যন্ত বিপজ্জনক বার্তা। কারণ এটা মানুষকে দায়িত্ব এড়াতে এবং দেবতা বা যাদুকরের ওপর বিশ্বাস রাখতে উৎসাহিত করে। এটার আরও খারাপ দিক হলো, এতে করে আমরা বুঝতে ব্যর্থ হই যে দেবতা ও যাদুকরের ধারণা মানুষই তৈরি করেছে—যেমনটা রথ, ঝাড়ু বা অ্যালগরিদম তৈরি করেছে। মানুষের মধ্যে এই যে এক ধরনের প্রবণতা আছে—শক্তিশালী বস্তু তৈরি করে অনাকাঙ্ক্ষিত বিপর্যয় সৃষ্টির প্রবণতা, সেটা শুধু বাষ্পীয় ইঞ্জিন বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) উদ্ভাবন থেকে শুরু হয়েছে তা নয়; বরং এর উৎপত্তিস্থল হচ্ছে ধর্ম। বিভিন্ন সময়ে ভবিষ্যদ্বক্তা (prophets) ও ধর্মতাত্ত্বিকরা শক্তিশালী আত্মার কথা বলত, যার বা যাদের মাধ্যমে এই দুনিয়ায় ভালোবাসা ও শান্তির আগমন ঘটবে। কিন্তু দেখা যেত সেগুলো প্রায়ই এই পৃথিবীতে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে।

ফাইথনের (ফেথন) মিথ এবং গ্যোথের গল্প আমাদেরকে যথাযথ পরামর্শ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। কারণ তারা মানুষের শক্তি অর্জনের প্রকৃত উপায়কে ভুলভাবে অনুভব করেছে। উভয় গল্পে, একজন ব্যক্তি বিশাল ক্ষমতা অর্জন করে। কিন্তু অহংকার এবং লোভের কারণে সে ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এর থেকে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় তা হলো—মানুষের ব্যক্তিগত মানসিক দুর্বলতা তাকে ক্ষমতার অপব্যবহারে প্ররোচিত করে। তবে, এই সহজ বিশ্লেষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ পড়ে যায়। সেটা হচ্ছে মানব ক্ষমতা কখনই ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলাফল নয়। ক্ষমতা সবসময়ই বহু মানুষের পারস্পরিক সহযোগিতা থেকে উদ্ভূত হয়।

অতএব, এটা আমাদের ব্যক্তিগত মানসিকতা নয় যা আমাদেরকে ক্ষমতার অপব্যবহারে প্ররোচিত করে। কারণ লোভ, অহংকার এবং নিষ্ঠুরতার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে রয়েছে ভালোবাসা, সহানুভূতি, বিনয় এবং আনন্দের অনুভূতি। অবশ্য এ কথাও সত্য যে আমাদের সমাজের কিছু ক্ষতিকর সদস্যদের মধ্যে লোভ এবং নিষ্ঠুরতা বেশি দেখা যায়, যা তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের দিকে নিয়ে যায়। কিন্তু মানবসমাজ কেন তাদের সবচেয়ে ক্ষতিকর সদস্যদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়? উদাহরণস্বরূপ, ১৯৩৩ সালে জার্মানির বেশিরভাগ মানুষ সাইকোপ্যাথ ছিল না, তাহলে কেন তারা হিটলারকে ভোট দিয়েছিল?

এই যে আমরা এমন সব ক্ষমতা, বিষয় বা জিনিসকে আহ্বান করি যেগুলোকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, এটা কিন্তু আমাদের ব্যক্তিগত মানসিকতা নয়; বরং বিরাট আকারের নেটওয়ার্কিং করার মানবজাতির বিশেষ পদ্ধতি থেকে উদ্ভূত। এই বইয়ের প্রধান যুক্তি হলো, মানবজাতি বিশাল ক্ষমতা অর্জন করে বৃহৎ সহযোগিতামূলক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে। কিন্তু এই নেটওয়ার্কগুলোর গঠনের ধরন আমাদের এই ক্ষমতার অপব্যবহারে প্ররোচিত করে। সুতরাং আমাদের সমস্যা মূলত একটি নেটওয়ার্ক সমস্যা।

আরো সুনির্দিষ্টভাবে বললে, মানবজাতির সমস্যা হচ্ছে একটি তথ্যগত সমস্যা। তথ্যই সেই গাঁথুনি, যা নেটওয়ার্কগুলোকে একসঙ্গে ধরে রাখে। কিন্তু হাজার হাজার বছর ধরে স্যাপিয়েন্স বড় নেটওয়ার্ক গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেছে। এসব করতে পেরেছে দেবতা, যাদুকরী ঝাড়ু, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং এ ধরনের আরও অনেক বিষয়ে কল্পনা ও ভ্রান্ত ধারণা তৈরি ও প্রচার করে। প্রত্যেক ব্যক্তিই সাধারণত নিজের এবং বিশ্বের সম্পর্কে সত্য জানতে আগ্রহী। তবে বৃহৎ নেটওয়ার্কগুলো এই ধরনের কল্পনার উপর ভিত্তি করে সদস্যদের সংযুক্ত করে এবং একটি শৃঙ্খলা তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, নাৎসিবাদ এবং স্তালিনবাদ এভাবেই সম্ভব হয়েছিল। এগুলো ছিল অস্বাভাবিক রকমের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক, যা অস্বাভাবিক ধরনের বিভ্রান্তিমূলক আইডিয়া বা ধারণার দ্বারা টিকিয়ে রাখা হয়েছিল। লেখক জর্জ অরওয়েল যেমন বলেছিলেন, "অজ্ঞতাই শক্তি।"

নাৎসি এবং স্তালিনবাদী শাসনযন্ত্র নিষ্ঠুর কল্পনা ও নির্লজ্জ মিথ্যার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তবে এরা যে একমাত্র ছিল তা বলা যায় না। ইতিহাসে এমন আরও উদাহরণ রয়েছে। আবার তাদের ভেঙে পড়ার ব্যাপারটাও যে পূর্বনির্ধারিত ছিল তাও না। নাৎসিবাদ এবং স্তালিনবাদ ছিল মানুষের তৈরি অন্যতম শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। ১৯৪১ সালের শেষ এবং ১৯৪২ সালের শুরুতে, অক্ষশক্তিগুলো (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি, ইতালি, জাপান প্রভৃতি দেশসমূহ) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। স্টালিন শেষ পর্যন্ত সেই যুদ্ধে বিজয়ী হিসেবে আবির্ভূত হন এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তিনি এবং তার উত্তরসূরীদের কাছে শীতল যুদ্ধে জয়ী হওয়ার মতো যৌক্তিক কারণও ছিল। ১৯৯০-এর দশকে উদার গণতান্ত্রিক দেশগুলো হালে পানি পায়। কিন্তু এটা এখন সাময়িক বিজয় বলে মনে হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীতে, কোন নতুন একনায়কতান্ত্রিক শাসনযন্ত্র হয়তো হিটলার এবং স্টালিনের ব্যর্থতার জায়গায় সফল হতে পারে। আর এমন একটি সর্বশক্তিমান নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তার মিথ্যা ও কল্পনাকে উন্মোচনের চেষ্টা করতেও বাধা দিবে। আমরা যদি মনে করি এ ধরনের একনায়কতান্ত্রিক বা স্বৈরাচারী নেটওয়ার্কগুলো অবধারিতভাবে ব্যর্থ হবে, তাহলে সেটা ভুল। অন্যায়কারীরা অন্যায় করতে করতে আপনাআপনি অন্যায়ের সাজা পাবে—এমন চিন্তা করাটা ভুল চিন্তা। এদের বিজয় রোধ করতে চাইলে আমাদেরকেই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।


ফজলে রাব্বি

ফজলে রাব্বি একজন লেখক, অনুবাদক এবং প্রকাশক, যিনি বাংলা সাহিত্যের জগতে তার অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। তিনি সাফল্য প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদকের ভূমিকায় থেকে প্রায় এক দশক ধরে অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের বাংলা অনুবাদে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করছেন। তার অনুবাদ করা বইগুলো যেমন "থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ," "দ্য সাইকোলজি অফ মানি," এবং "টাইম ম্যানেজমেন্ট" বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঠকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করাই তার অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, তিনি সাহিত্যিক কাজেও সমান উৎসাহী, যেখানে তার কবিতাগুলো মানুষের আবেগ ও অভিজ্ঞতার গভীর দিকগুলো তুলে ধরে। ফজলে রাব্বি প্রতিনিয়ত পাঠকদের জন্য নতুন বই প্রকাশ ও লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশের তার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাঠকদের জন্য শিক্ষণীয়, মানসম্মত এবং উদ্দীপনামূলক কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন উদ্ভাবনী প্রকাশক ও লেখক হিশাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন