১। তোমার প্রতিটি দিন আগে থেকে পরিকল্পনা করে রাখো। প্রতিদিন তুমি কী কী অর্জন করতে চাও তা আগে থেকে লিখে রাখো।
২। তোমার চাওয়া ও লক্ষ্যগুলো একটি কাগজে লিখো। মনে মনে চিন্তা করলে হবে না।
৩। ৮০/২০ সূত্র মেনে চলো। তোমার কাজের ২০% চেষ্টাই তোমাকে তোমার ফলাফলের ৮০% এনে দিবে। কোন ২০% গুরুত্বপূর্ণ তা খুঁজে বের করো।
৪। মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করো। একসাথে অনেক কাজে হাত দিবে না। এক কাজ শেষ না করে অন্য কাজে হাত দিও না। এতে করে তোমার কাজের মান খারাপ হয়ে যায়।
৫। এক সময়ে কেবল একটি কাজের দিকেই মনোযোগ দাও।
৬। তোমার আশপাশ থেকে সব ধরনের মনোযোগ বিঘ্নকারী জিনিস সরিয়ে ফেলো। তোমার মনোযোগ ও উৎসাহ নষ্ট করে এমন সবকিছু দূর করে ফেলো।
৭। ক্লান্ত লাগলে একটু জিরিয়ে নাও। একটু ঘুমিয়ে নাও। তবে তা ১৫-২০ মিনিট বা ৩০ মিনিটের বেশি যেন না হয়।
৮। ভালো সঙ্গী নির্বাচন করো। জানো তো প্রবাদ আছে, সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
৯। না বলতে শেখো। সবকিছুতে যদি হ্যাঁ বলো তবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যথেষ্ট সময় দিতে পারবে না।
১০। যত ধরনের অপ্রয়োজনীয় কাজ আছে সব অন্য কারও হাতে দিয়ে দাও।
১১। পারফেক্ট সময়ের অপেক্ষায় থেকো না। এখনই কাজ শুরু করো। কাজ করতে করতে নিখুঁত হয়ে উঠবে।
১২। ৫ মিনিটের মধ্যে যদি কোন কাজ করা যায় তবে তা ফেলে রেখো না। এখনই করে ফেলো।
১৩। কষ্ট লাগে, বিরক্ত লাগে এমন সব কাজ আগে করো। মার্ক টোয়েন একবার বলেছিল, ‘যদি প্রতিদিন সকালে একটি জীবন্ত ব্যাঙ খাওয়ার মাধ্যমে কারও দিনের সূচনা হয়, তাহলে দিনের বাকি সময়টায় তার মনে এমন সন্তুষ্টি বিরাজ করবে যে, এর তুলনায় খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন তাকে হতে হবে না।’ মার্ক টোয়েন এর মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছে, প্রতিদিনের শুরু করো সবচেয়ে কঠিন কাজ দিয়ে। তুমি যদি দিনের শুরুতেই কঠিন কাজ দিয়ে আরম্ভ করো এবং তা সম্পন্ন করো, তবে সারাদিন এই সন্তুষ্টি নিয়ে কাটাবে যে এরচেয়ে কঠিন কাজ আর কিছু হতে পারে না। নিজের মধ্যে কঠিন কাজ সম্পন্ন করার শক্তি ও সাহস বিরাজ করবে। আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
১৪। কাজের ডেডলাইন দাও। ডেডলাইন ছাড়া কোন কাজই শেষ হওয়ার কোন ঠিকঠিকানা থাকে না।
১৫। তোমার লক্ষ্য পূরণে সাহায্য করে না এমন কাজ করা বন্ধ করো। এ ধরনের কাজে মনোযোগ দিবে না।
১৬। দরকার না থাকলে কোন কাজ নিখুঁত করার চেষ্টা করো না। সব কাজে নিখুঁত হতে গেলে কোন কাজই করা হয়ে ওঠে না।
১৭। তোমার ইমেইল সহ অন্যান্য মোবাইলের অ্যাপে মেসেজ দেখার জন্য দিনের এক নির্দিষ্ট সময় বের করো।
১৮। অপ্রয়োজনীয় মিটিং করা বন্ধ করো।
১৯। যেকোন ধরনের নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকো।
২০। তুমি যে কাজ করতে ভালোবাসো তাই করো। ব্যবসা করতে ভালো লাগলে ব্যবসা করো। চাকরি করতে ভালো লাগলে তাই করো।
ছবিসূত্র: https://www.youtube.com/watch?app=desktop&v=vZWhQ-IFlzM