১। ৫০/১০ সূত্র: টানা ৫০ মিনিট ধরে কাজ করুন, তারপর ১০ মিনিটের একটা বিরতি নিন। এই সূত্রের মাধ্যমে আপনার মানসিক চাপ কমবে এবং কাজের সময় ক্লান্তি অনুভব করবেন না। আমার এক ছোট ভাই, রিগ্যান। সে চাকরি পরীক্ষার পড়ালেখা করার সময় এই ৫০/১০ সূত্র কাজে লাগিয়েছিল। এখন সে একজন ট্যাক্স ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত।
২। ২ মিনিটের সূত্র: যদি কোন কাজ করতে ২ মিনিটের কম সময় লাগে তবে কাজটি সাথে সাথে করে ফেলুন। চিন্তা করে দেখুন, আপনি কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে ২ মিনিটের সূত্রটি প্রয়োগ করতে পারেন? আজই চেষ্টা করুন।
৩। টানা ৯০ মিনিট মনোযোগ ধরে রাখার সূত্র: এক নাগাড়ে ৯০ মিনিট কাজ করে যান। এই ৯০ মিনিট আপনার মনোযোগ সম্পূর্ণ কাজের প্রতি রাখুন। তারপর ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের একটা বিরতি নিন। আপনি কোন কাজটি ৯০ মিনিটের জন্য পরিকল্পনা করেছেন?
৪। ২০-২০-২০ সূত্র: প্রতিবার ২০ মিনিট কাজ করার পর ২০ ফুট দূরে মাত্র ২০ সেকেন্ডের জন্য চেয়ে থাকুন। এতে করে চোখের ওপর চাপ কমবে এবং আপনার চোখের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
৫। ২ ঘণ্টার নির্দিষ্ট সময়: কোন ধরনের বাধাবিঘ্ন ছাড়া টানা ২ ঘণ্টা কাজ করার জন্য সময় নির্দিষ্ট রাখুন। আমি ২০১৭ সালে ঢাকা কলেজে মাস্টার্সে ভর্তি হই। পড়ালেখার পাশাপাশি কলেজের লাইব্রেরিতে আমি আমার অন্যতম বই সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড অনুবাদ করি। তখন আমি টানা ২ ঘণ্টা অনুবাদ করতাম। কোন ধরনের বাধাবিঘ্ন ছাড়াই। আমার অনূদিত ৩০টি বইয়ের মধ্যে সাকসেস থ্রো এ পজিটিভ মেন্টাল এটিটিউড-ই সবচেয়ে সহজ-সরল এবং সাবলীল অনুবাদ।
৬। ৮০/২০ সূত্র (প্যারেতো নীতি): আপনার সকল কাজের মধ্যে এমন ২০% কাজ খুঁজে বের করুন যেগুলো আপনাকে ৮০% ফলাফল এনে দিবে। আপনি কি আপনার গুরুত্বপূর্ণ ২০% কাজ খুঁজে পেয়েছেন?
৭। ১০/১০/১০ সূত্র: আপনি যেসব সিদ্ধান্ত নিবেন সেগুলোর স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিণতির ব্যাপারে চিন্তা করুন।
৮। ৪টি ডি সূত্র: ডু মানে কাজ করুন, ডিফার মানে পরে করবেন বলে কাজটা আপাতত স্থগিত করুন, ডেলিগেট মানে অন্য কাউকে দিয়ে কাজটা করান এবং ডিলিট মানে কাজটা বাদ দিন। আপনার সকল কাজকে এরকমভাবে প্রাধান্য ও প্রাসঙ্গিকতার ভিত্তিতে ভাগ করুন। যেই কাজের প্রাধান্য ও প্রাসঙ্গিকতা বেশি সেটা এখনই করুন। যেটার প্রাধান্য ও প্রাসঙ্গিকতা কম সেটা পরে করুন অথবা অন্য কাউকে দিয়ে করান। আর যেটার প্রাসঙ্গিকতা নেই সেটা বাদ দিন।
তালিকা তৈরি করে এখনই কাজ শুরু করুন। তাহলে প্রিয় পাঠক, কোন কৌশলটি আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর হতে পারে বলে মনে করছেন? কেন আজই চেষ্টা করে দেখছেন না? সফলতা অপেক্ষা করছে।
কী শিখলাম:
- টানা ৫০ মিনিট, ৯০ মিনিট বা ২ ঘণ্টা কাজ করব, তারপর ১০-২০ মিনিট বা নিজের প্রয়োজনমতো বিরতি নিব।
- কোন কাজ করতে ২ মিনিটের কম সময় লাগলে সেটা সাথে সাথে করব।
- কম্পিউটার বা মোবাইলে কাজ করলে প্রতি ২০ মিনিট পর ২০ ফুট দূরে ২০ সেকেন্ডের জন্য চেয়ে থাকব।
- কাজের সেই ২০% অংশ খুঁজুন, যা আপনাকে ৮০% ফলাফল দেবে।
- সব ধরনের সিদ্ধান্তের স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিণতির কথা বিবেচনা করুন।
- ৪-ডি সূত্র মেনে চলুন। কাজ করুন, স্থগিত করুন, অন্য কাউকে দিয়ে করান অথবা বাদ দিন।
লেখাটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে www.newsg24.com