ফেথন গল্পটি গ্রিক পুরাণের একটি শক্তিশালী কাহিনি। ফেথন ছিল সূর্যদেব হেলিওসের পুত্র। সূর্যদেব হেলিওস প্রতিদিন পূর্ব থেকে পশ্চিমে আকাশ জুড়ে একটি রথ চালাতেন। ফেথন একদিন জানতে পারে সে হেলিওসের পুত্র। তারপর সেই কথাকে সত্য প্রমাণের জন্য ফেথন তার পিতা, সূর্যদেব হেলিওসের কাছে সূর্য রথ চালানোর অনুমতি চায়। হেলিওস তাকে সাবধান করে যে একজন মানুষের পক্ষে এই মহাজাগতিক রথ চালানো সম্ভব নয়। কিন্তু ফেথনের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হেলিওস হার মানে।
যখন ফেথন রথ নিয়ে আকাশে উঠে, তখনই তার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যায়। রথের পথচ্যুতির ফলে সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি চলে আসে। সূর্যের অত্যধিক তাপে গাছপালা পুড়ে যায়, প্রাণীকুল বিপন্ন হয় এবং বিশ্বজুড়ে এক মহাসংকট সৃষ্টি হয়। পৃথিবীকে এই বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে দেবরাজ জিউস বজ্রাঘাত করে ফেথনকে আকাশ থেকে ফেলে দেন। তার পতন যেন খসে পড়া এক তারা। দেবতারা আকাশের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় গ্রহণ করে এবং পৃথিবীকে রক্ষা করে। এই গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়, শুধুমাত্র জ্ঞান থাকলেই যথেষ্ট নয়; সেটাকে পরিচালিত করতে প্রয়োজনীয় শক্তিও থাকা দরকার।