তোমার মনোযোগ ধরে রাখতে কাজে লাগাও পমোডোরো টেকনিক


ছবিসূত্র: উইকিপিডিয়া

ইতালিয়ান ভাষায় পমোডোরো মানে টমাটো। ১৯৮০ সালে ফ্রান্সেসকো সিরিল্লো নামক এক ছাত্র নিজের মনোযোগ ধরে রাখতে এই টেকনিক আবিষ্কার করে। সে তার পড়ালেখা ঠিকমতো মনোযোগ ধরে রাখতে পারছিল না। তারপর ঠিক করে অন্তত পক্ষে ২৫ মিনিট ধরে সে অন্য কোনদিকে না দেখে শুধু পড়ার দিকে মনোযোগ দিবে। তার সাথে ছিল টমোটোর মতো দেখতে একটি ঘড়ি। সেই ঘড়িতে সে টাইম সেট করে। এভাবে সিরিল্লো তার মনোযোগ ধরে রেখে দারুণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যায়। এরপর এই পদ্ধতির নাম হয়ে ওঠে পমোডোরো টেকনিক, যা টাইম ম্যানেজ করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এক কৌশল।


পমোডোরো টেকনিকে একটানা ২৫ মিনিট তুমি তোমার কাজ করলে। তারপর ৫ মিনিটের জন্য বিশ্রাম নিলে। যেমন আমি কম্পিউটারে লেখালেখির সময় মোবাইলে এলার্ম দিয়ে রাখি ২৫ মিনিটের। তারপর ৫ মিনিট একটু হাঁটাহাঁটি করি। এটাকে দ্বিগুণও করা যায়। কেউ কেউ একটানা ৫০ মিনিট কাজ করে। তারপর ১০ মিনিট বিরতি নেয়। এই পদ্ধতির আসল জিনিসই হচ্ছে এই ৫ বা ১০ মিনিটের বিরতি। যেখানে মস্তিষ্ক একটু স্থির হয় যে এটা গত ২৫ বা ৫০ মিনিট ধরে কী কাজ করেছে। তুমি তোমার ধৈর্য ও প্রয়োজন মতো ২৫ বা ৫০ মিনিটের ভাগ ব্যবহার করতে পারো। এটা যার যার নিজ ইচ্ছা ও পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে।


তথ্যসূত্র:

১। The art of laziness by Library mindset, page: 68.

২। উইকিপিডিয়া - পমোডোরো কৌশল

৩। The Financial Express - পোমোডোরো টেকনিক – কাজে মনোযোগ ধরে রাখার কৌশল

৪। প্রথম আলো - পড়া মনে রাখার ৫ বৈজ্ঞানিক উপায়

ফজলে রাব্বি

ফজলে রাব্বি একজন লেখক, অনুবাদক এবং প্রকাশক, যিনি বাংলা সাহিত্যের জগতে তার অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। তিনি সাফল্য প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদকের ভূমিকায় থেকে প্রায় এক দশক ধরে অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের বাংলা অনুবাদে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করছেন। তার অনুবাদ করা বইগুলো যেমন "থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ," "দ্য সাইকোলজি অফ মানি," এবং "টাইম ম্যানেজমেন্ট" বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঠকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করাই তার অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, তিনি সাহিত্যিক কাজেও সমান উৎসাহী, যেখানে তার কবিতাগুলো মানুষের আবেগ ও অভিজ্ঞতার গভীর দিকগুলো তুলে ধরে। ফজলে রাব্বি প্রতিনিয়ত পাঠকদের জন্য নতুন বই প্রকাশ ও লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশের তার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাঠকদের জন্য শিক্ষণীয়, মানসম্মত এবং উদ্দীপনামূলক কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন উদ্ভাবনী প্রকাশক ও লেখক হিশাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন