৫ মিনিট সূত্র

আমাদের জীবনে অফুরন্ত কাজ। কাজের কোন শেষ নেই। তাই বলে কী কাজ করব না! অবশ্যই করব। তবে কাজ করার সময় কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে কাজ করতে যেমন সুবিধা হয়, তেমন অল্প সময়ে অনেক কাজও সম্পন্ন করা যায়। এমনই এক নিয়ম - ৫ মিনিট সূত্র।

বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেন, “ছোট ছোট কাজে যে সময় খরচ হয় তার দিকে মনোযোগ দাও। কারণ বড় বড় জাহাজ ছোট ছোট ফুটার কারণেই ডুবে যায়।” এ কথা টাকা বা অন্য যেকোন কিছুর জন্য সমানভাবেই প্রযোজ্য।

ছোট ছোট কাজ অনেক সময় তোমার গুরুত্বপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে। ধরো, তুমি গতকাল রাতে ঠিক করলে আজ সকালে উঠেই বই নিয়ে পড়তে বসবে। সকালে উঠে প্রথমে মনে হলো বিছানাটা গোছানো দরকার, হাতমুখ ধুতে হবে, টয়লেটে যাই, একটু কিছু খেয়ে নিই অথবা আজ তো সকালেই উঠেছি - একটু বাইরে হেঁটে আসি প্রভৃতি। এসব কাজ শেষ করতে করতে তোমার আর পড়ার কাজটা হয়ে উঠবে না। অথবা যখন এসব কাজ শেষ করে তুমি পড়তে বসবে তখন তোমার আর এনার্জি থাকবে না। এজন্য প্রথমেই প্রথম কাজটা করবে। মানে পড়তে বসে যাবে। পড়া শেষ করে, তারপর অন্য কাজ।

আর ৫ মিনিট সূত্র হচ্ছে কোন কাজ যদি ৫ মিনিটের কম সময়ের জন্য হয় তবে সেটা ফেলে না রেখে সাথে সাথে করে ফেলবে। এতে করে অনেক কাজ জমে যাবে না।

আবার তুমি যদি কোন নতুন কাজ শুরু করতে চাও, তবে মাত্র ৫ মিনিটের জন্য কাজ করবে বলে বসো। এতে করে, একটা কাজ করতে গেলে অনেক সময় লাগবে, অনেক কষ্ট হবে এগুলো চিন্তা করে মস্তিষ্ক থেকে যে বাধা আসে, মন থেকে কাজ করতে চাই না, তা দূর হবে।

তথ্যসূত্র:

১। The art of laziness by Library mindset, page: 72.

২। https://www.youtube.com/watch?v=rRid6GCJtgc

ফজলে রাব্বি

ফজলে রাব্বি একজন লেখক, অনুবাদক এবং প্রকাশক, যিনি বাংলা সাহিত্যের জগতে তার অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। তিনি সাফল্য প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং সম্পাদকের ভূমিকায় থেকে প্রায় এক দশক ধরে অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের বাংলা অনুবাদে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করছেন। তার অনুবাদ করা বইগুলো যেমন "থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ," "দ্য সাইকোলজি অফ মানি," এবং "টাইম ম্যানেজমেন্ট" বাংলাদেশের পাঠকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পাঠকদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা করাই তার অনুপ্রেরণা। পাশাপাশি, তিনি সাহিত্যিক কাজেও সমান উৎসাহী, যেখানে তার কবিতাগুলো মানুষের আবেগ ও অভিজ্ঞতার গভীর দিকগুলো তুলে ধরে। ফজলে রাব্বি প্রতিনিয়ত পাঠকদের জন্য নতুন বই প্রকাশ ও লেখালেখিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬৪টি অনুপ্রেরণামূলক বই প্রকাশের তার লক্ষ্যে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাঠকদের জন্য শিক্ষণীয়, মানসম্মত এবং উদ্দীপনামূলক কন্টেন্ট তৈরির মাধ্যমে তিনি নিজেকে একজন উদ্ভাবনী প্রকাশক ও লেখক হিশাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন